১৯ জুলাই ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙছে নদী, বন্যা ও শহররক্ষা বাঁধ। গাইবান্ধা, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জে আজও বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দুর্গতদের অভিযোগ, প্রতিবছর বাঁধ ভাঙলেও কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় দুর্ভোগ কমছে না নদীতীরবর্তী জনপদে।
শুক্রবার দুপুরে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছে দুর্গতের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন সরকারের দুই প্রতিমন্ত্রী। বন্যা কবলিত এলাকা রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানান তারা। প্রতিবছর বর্ষায় টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বেড়ে যাচ্ছে দেশের নদ-নদীর পানি। পানির তোড়ে একের পর এক ভাঙছে বাঁধ। চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে জনদুর্ভোগ।
গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ব্রহ্মাপুত্র ও ঘাঘট নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৮ টি স্থান ভেঙে গেছে। ৬টি উপজেলার ৩ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি সাড়ে ৪ লাখ মানুষ। বন্যার পানিতে ডুবে শিশুসহ মারা গেছেন ৪ জন।
যমুনা নদীর পানির তোড়ে টাঙ্গাইলের তারাই এলাকায় আকর্ষিক ভেঙে যায় শহর রক্ষা বাঁধ। এতে স্রোতের চাপ পড়ে তারাই-ফলদা ও ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কে। রাস্তা দুটির বেশ কিছু জায়গা ভেঙে হু হু করে পানি ঢুকে তলিয়ে যায় ৬ টি উপজেলার ৩০-৪০ টি গ্রাম। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দুর্গত এলাকার সড়ক যোগাযোগ। তবে জিওব্যাগ ফেলে দ্রুত রাস্তা সংস্কারে কাজ শুরু করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
যমুনার প্রবল স্রোতে ফাটল দেখা দিয়েছে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের তলদেশে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে সিসি ব্লক ফেলে ফাটল সংস্কারে কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নওগাঁর মান্দা উপজেলার পর এবার রাণীনগরে ছোট যমুনা নদীর বাঁধের ৫০ ফিট অংশ ভেঙে গেছে। পানি ঢুকে তলিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। ডুবে গেছে রবি শস্যের ক্ষেত। বানভাসীদের অভিযোগ, বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
Leave a Reply